ব্লগ

রক্তদান নির্দেশিকা


১. সম্পূর্ণ রক্ত দান

  • প্রতি ৫৬ দিন অন্তর (বছরে সর্বোচ্চ ৩ বার)
  • স্বাস্থ্য ভালো থাকতে হবে এবং অসুস্থ অনুভব করা যাবে না
  • বয়স: কমপক্ষে ১৮ বছর
  • ওজন: কমপক্ষে ১১০ পাউন্ড (৫০ কেজি)

২. প্লেটলেট দান

  • প্রতি ১৫ দিন অন্তর (বছরে সর্বোচ্চ ২৪ বার)
  • স্বাস্থ্য ভালো থাকতে হবে এবং অসুস্থ অনুভব করা যাবে না
  • বয়স: কমপক্ষে ১৮ বছর
  • ওজন: কমপক্ষে ১১০ পাউন্ড (৫০ কেজি)
  • অ্যাসপিরিন খেলে প্লেটলেট দান করার আগে ২ দিন বন্ধ রাখতে হবে

কে রক্ত দিতে পারবেন না


    আপনি রক্ত দিতে পারবেন না যদি:


    ১. সর্দি, জ্বর

  • জ্বর থাকে
  • কফসহ কাশি থাকে
  • শরীর খারাপ থাকে
  • সাইনাস, গলা বা ফুসফুসের সংক্রমণের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক চলমান থাকে (চিকিৎসা শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে)

  • ২. ওজন ও উচ্চতা

  • রক্তদানের জন্য ওজন কমপক্ষে ১১০ পাউন্ড (৫০ কেজি) হতে হবে
  • নিরাপত্তার জন্য এটি বাধ্যতামূলক

  • ৩. অ্যালার্জি, নাক বন্ধ, চোখ চুলকানো

  • জ্বর না থাকলে এবং শ্বাস নিতে সমস্যা না হলে রক্ত দেওয়া যাবে

  • ৪. দানের বিরতি

  • সম্পূর্ণ রক্ত দান: কমপক্ষে ১৬ সপ্তাহ বিরতি
  • প্লেটলেট দান: কমপক্ষে ১৫ দিন বিরতি

  • ৫. দমবাঁধা বা হাঁপানি (Asthma)

  • শ্বাসকষ্ট থাকলে রক্ত দেওয়া যাবে না

  • ৬. রক্তক্ষরণজনিত সমস্যা (Bleeding Disorders)

  • যদি রক্ত স্বাভাবিকভাবে জমাট বাঁধে না, তাহলে রক্ত দেওয়া যাবে না।

  • নিচের রক্ত পাতলা করার ওষুধ খেলে দান করা যাবে না:

  • Atrixa (fondaparinux)
  • Coumadin / Jantoven / Warfilone (warfarin)
  • Eliquis (apixaban)
  • Fragmin (dalteparin)
  • Heparin
  • Lovenox (enoxaparin)
  • Pradaxa (dabigatran)
  • Savaysa (edoxaban)
  • Xarelto (rivaroxaban)
  • অ্যাসপিরিন খেলে সম্পূর্ণ রক্ত দেওয়া যাবে, কিন্তু প্লেটলেট দান করতে হলে ২ দিন বন্ধ রাখতে হবে।

  • ৭. রক্তচাপ (উচ্চ বা নিম্ন)

  • উচ্চ রক্তচাপ
  • সিস্টোলিক < ১৮০
  • ডায়াস্টোলিক < ১০০
  • উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ সমস্যা নয়
  • নিম্ন রক্তচাপ
  • অন্তত ৯০/৫০ এবং শরীর ভালো থাকতে হবে

  • ৮. হার্টবিট (Pulse)

  • ৫০–১০০ বিট প্রতি মিনিট হলে গ্রহণযোগ্য
  • ৫০-এর নিচে হলে চিকিৎসকের অনুমতি লাগবে

  • ৯. ক্যান্সার

  • লিউকেমিয়া বা লিম্ফোমা হলে রক্ত দেওয়া যাবে না
  • অন্যান্য ক্যান্সার হলে চিকিৎসা শেষের ১ বছর পর রক্ত দেওয়া যাবে

  • ১০. ডায়াবেটিস

  • ইনসুলিন বা ওষুধ নিয়ন্ত্রণে থাকলে রক্ত দেওয়া যাবে

  • ১১. হৃদরোগ (Heart Disease)


    রক্ত দেওয়া যাবে যদি:

  • চিকিৎসা সম্পন্ন হয়
  • গত ৬ মাসে কোনো বুকে ব্যথা বা সমস্যা না থাকে
  • দৈনন্দিন কাজে কোনো বাধা না থাকে
  • অপেক্ষা করতে হবে:

  • এনজাইনা: ৬ মাস
  • হার্ট অ্যাটাক: ৬ মাস
  • বাইপাস বা এঞ্জিওপ্লাস্টি: ৬ মাস

  • ১২. হিমোগ্লোবিন

  • মহিলা: কমপক্ষে ১২.৫ g/dL
  • পুরুষ: কমপক্ষে ১৩.০ g/dL
  • সর্বোচ্চ: ২০ g/dL

  • ১৩. হেপাটাইটিস / জন্ডিস

  • হেপাটাইটিস B বা C পজিটিভ হলে আজীবন রক্ত দেওয়া যাবে না
  • আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে যৌনসম্পর্ক থাকলে ১২ মাস অপেক্ষা

  • ১৪. HIV / AIDS

  • HIV পজিটিভ বা AIDS থাকলে রক্ত দেওয়া যাবে না

  • ১৫. সংক্রমণ (Infections)

  • জ্বর বা সক্রিয় সংক্রমণ থাকলে সম্পূর্ণ সেরে না ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা

  • ১৬. মাংকিপক্স (Monkeypox)

  • আক্রান্ত বা সংস্পর্শে এলে ২১ দিন অপেক্ষা

  • ১৭. ম্যালেরিয়া

  • ম্যালেরিয়া চিকিৎসা শেষের ৩ বছর পরে
  • ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ভ্রমণ করলে ৩ মাস পরে
  • ৫ বছরের বেশি সময় সেখানে বসবাস করলে ৩ বছর অপেক্ষা

  • ১৮. ত্বকের সমস্যা

  • যে হাতে রক্ত নেওয়া হবে সেই স্থান পরিষ্কার থাকলে সমস্যা নেই
  • সংক্রমণ থাকলে ঠিক হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা

  • ১৯. টিবি (Tuberculosis)

  • সক্রিয় TB থাকলে রক্ত দেওয়া যাবে না
  • চিকিৎসা শেষ হলে দান করা যাবে

  • ২০. হাম (Measles) সংস্পর্শ

  • টিকা নিলে বা ১৯৫৬ সালের আগে জন্ম হলে গ্রহণযোগ্য না হলে ৪ সপ্তাহ অপেক্ষা

  • ২১. রক্ত গ্রহণ (Blood Transfusion)

  • রক্ত পাওয়ার ৩ মাস পর দান করা যাবে

  • ২২. দাঁতের চিকিৎসা

  • সাধারণ চিকিৎসার পর রক্ত দেওয়া যাবে
  • সংক্রমণ থাকলে অ্যান্টিবায়োটিক শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা
  • বড় সার্জারি হলে ৩ দিন অপেক্ষা

  • ২৩. অঙ্গ প্রতিস্থাপন (Transplant)

  • অঙ্গ বা টিস্যু প্রতিস্থাপনের ৩ মাস পরে দান করা যাবে
  • Dura mater ট্রান্সপ্লান্ট (মস্তিষ্কের আবরণ) পেলে কখনো দান করা যাবে না

  • ২৪. অস্ত্রোপচার

  • রোগের ধরন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে

  • ২৫. গর্ভাবস্থা ও প্রসব

  • গর্ভবতী হলে রক্ত দেওয়া যাবে না
  • সন্তান জন্মের ৬ সপ্তাহ পরে রক্ত দেওয়া যাবে

  • ২৬. সিফিলিস / গনোরিয়া

  • চিকিৎসা শেষের ৩ মাস পরে রক্ত দেওয়া যাবে